হুপু আর তিতলি
হুপু আর তিতলি। তিতলি হনুমানটির নাম দিয়েছিল, হুপু। খুব ছোট নয় আবার গোদাও নয়। খাঁকি রঙের লোমে মোড়া লম্বা লেজ আর কালো মুখের হুপুর কপালে জানলার চাঝার মত লম্বা লোমের পরত। প্রতিদিন দুপুরে এবাড়ির ছাদ ও বাড়ির টালির চালা টপকে হুপু তিতলিদের পেয়ারা গাছে বা আমগাছে আয়েসি মেজাজে লেজ ঝুলিয়ে বসত। কেউ কাছে গেলেই দাঁত বেড় করে এমন ভয় দেখাত তো যে দৌড়ে পালানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকত না। তিতলির ব্যাপারটি আলাদা। ওর ঠাম্মা পইপই করে বলেছিল যাতে সে কক্ষনো হুপুর ধারে কাছে না যায়। তিতলি অবিশ্যি হুপুকে ভয় পেত না। একদিন ধুপধাপ শব্দ শুনেই তিতলি বাইরে বেরিয়ে দেখে বাড়ি ছাদের প্যারাপেটে লেজ ঝুলিয়ে উদাস ভাবে হুপু বসে আছে। চুপিচুপি ছাদে গিয়ে দশ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে সে বলে, "এই হুপু, হুপু, আমার কথা শুনছিস? আমার সাথে বন্ধুত্ব করবি? একটু বোস, কলা এনে দিচ্ছি।" হুপু কি বুঝেছে, তিতলি জানেনা কিন্তু তাঁর দিকে এমন ভাবে হুপু তাকিয়েছে যেন মনে হয় যেন অনেক চেনা। তিতলি দৌড়ে খাওয়ার টেবিলে রাখা সব কলা নিয়ে এসে হুপুর দিকে এগোতেই, হুপু প্যারাপেট ছেড়ে ধীরে এগিয়ে আসে। তিতিলির হাত থেকে কলা নিয়ে হুপু লাফিয়ে চলে যায়। তিতলির মামা বলেছিল,